রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْيَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَم
“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়াত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭)তিনি আরে বলেনঃ
مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْتَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সোয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদানুযায়ী আমল করে। এতে কারো সোয়াবের ঘাটতি হয় না।”এ জন্য আপনার কর্তব্য হল, আপনার পরিচিত অমুসলিমদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানান। এবং দাওয়াতী কাজ শুরু করুন আপনার পিতা-মাতা, সন্তানাদি, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব ইত্যাদি পরিবার এবং নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলেনঃ
وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
“(হে নবী), আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক করুন।” (সূরা শু’আরাঃ ১১৪)
আপনি তাদেরকে সঠিক দ্বীনের শিক্ষা দিন। দ্বীনের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। তাদেরকে এই শুভসংবাদ দিন যে, দ্বীন মেনে চললে দুনিয়ায় মিলবে সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে জান্নাত এবং এক মহা আনন্দময় জীবন।সেই সাথে তাদেরকে আল্লাহর শাস্তিরর ভয় দেখান। যেমন, মানবজাতির জন্য আলোর দিশারী এবং জীবন সংবিধান হিসেবে অবতীর্ণ মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে কেউ যদি অস্বীকার করে অথবা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অস্বীকার করে যাকে আল্লাহ তা’আলা সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য দয়া ও কল্যাণের বার্তাবাহী হিসেবে প্রেরণ করেছেন তাহলে তাদের জন্য কত কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে সে ভয় তাদেরকে প্রর্দশন করুন।
বুদ্ধিমত্তা, হেকমত, নরম ভাষা, ভালবাসা, পরম নিষ্ঠা এবং চরম ধৈর্য সহকারে মানুষকে ইসলামের পথে আহবান করুন। তার আগে নিজেকে সবচেয়ে উত্তম মডেল হিসেবে পেশ করুন। এমন হওয়ার চেষ্ট করুন, যেন আপনার কথা-বার্তা, চলাফেরা, আচার-আচরণে আদর্শ ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। ভাল আমলগুলো করার ক্ষেত্রে আপনি থাকবেন সবার আগে। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।এভাবে কথা ও কাজের মাধ্যমে আপনার দাওয়াতকে ছড়িয়ে দিন। তাহলেই আপনার বন্ধুরা আপনার দাওয়াত কবুল করবে। এর মাধ্যমে তারা বুঝতে সক্ষম হবে যে, আপনি যা বলছেন, সেটাই সঠিক। ফলে তারা ইসলামের আদর্শকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করবে। এবং হৃদয় দিয়ে ভালবাসবে ইসলামকে এবং সেই সাথে আপনাকেও।
অতএব, জানতে হবে মানুষকে ইসলামের পথে আহবান করার সঠিক পদ্ধতি কি? নির্ধারণ করতে হবে কোন উপলক্ষ্যে, কোন পরিস্থিতিতে কোন কথাটি বলতে হবে। এ জন্য মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ
ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ
عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
“হেকমত ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে তোমার রবের পথে আহবান কর। আর সর্বোত্তম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। আপনার রব তো সবচেয়ে বেশি জানেন কে তার পথ থেকে বিচ্যুত এবং তিনিই ভাল জানেন কে হেদায়েত প্রাপ্ত। (সূরা নাহলঃ ১২৫)
এই নীতি বাক্যটি আবশ্যই আপনার জানা আছে তা হল, “পরিস্থিতির আলোকে কথা বল”। পরিস্থিতিতি অনুযায়ী যথোপযুক্ত কথা বললে তাতে বেশি প্রভাব সৃষ্টি হয়। এ বিষয়টি দাওয়াত দানকারীর মাথায় রাখা জরুরী।
আপনি যদি আরবী ভাষা না জানেন তবে আপনাকে পরামর্শ দিব, আরবী ভাষাকে রপ্ত করার চেষ্টা করুন। কারণ, যে ভাষায় আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে অবতীর্ণ করেছেন সরাসরি সে ভাষায় ইসলামকে বুঝতে পারবেন এবং পরম আস্থা আর নিশ্চিন- মনে ইসলাম সর্ম্পকে কথা বলতে পারবেন। কারণ আপনি সরাসরি কুরআনের ভাষায় কথা বলছেন, যে ভাষায় স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা কথা বলেছেন। যে ভাষা ছিল নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর। যে ভাষা ছিল যুগে যুগে অসংখ্য মুসলিম মনিষীদের।ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন বই-পুস্তক যদি দিতে পারেন তবে ইসলাম প্রচারে আপনার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে আপনাকে তা দারুনভাবে সাহায্য করবে।
এ বিষয়ে আপনাদের মতামত এবং বিভিন্ন আইডিয়া কামনা করছি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে একনিষ্ঠভাবে তাঁর দ্বীনের কাজ করার তাওফীক দান করুন।
Assalamu Alaikum,
I pray my thanks at first to Almighty Allah and then to you that this website is giving us the accurate thought of Islam.
Sir, I request you to write a book about the vast establishment of “Shirk” i.e. Kobor Puja, Majar Puja, Pir Puja, Expectation of Oasila/Media of Pir etc. in our country. Perhaps Mr. Abdullah Al Kafi bhaiya will be able to write details about all the types of Shirk in our society. I request Abdullah Al Kafi bhaiya to write the book with a lot of reference of Quran and Sahih Hadith including the circumstances and forms of Shirk in the ancient time (Zahiliat time). This type of book will be very helpful to preach Islam.
I have read the book “Salatul Bitr” by Abdullah Al Kafi and he has written the book very clearly with a lot of reference. Thanks to Kafi bhaiya.
So, kindly consider my request and let us identify all types of Shirk.
Thanks,
Muminur Rahman
Dhaka
সুপ্রিয় ভাই, তাওহীদ, শিরক, কবর পুজা, পীর পুজা ইত্যাদী সম্পর্কে সালাফী বিডিতে প্রকাশিত তাওহীদ পুনরুদ্ধার, তাওহীদের কিশতী, ও প্রাথমিক তাওহীদ শিক্ষা বইগুলো পড়ুন। আল্লাহ চাহে তো এ ব্যাপারে অনেক কিছুই জানা যাবে।
আর ওসীলা , শিরকের বিভিন্ন রূপ ও বিস্তারিত বিবরণ সহকারে বিভিন্ন বিষয় সালাফী বিডিতে নিয়মিত বই-পুস্তক, প্রবন্ধ ইত্যাদি আসবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।