একাধিক বিবাহ করা কি নারীদের প্রতি অবিচার?


একাধিক বিবাহ করা কি  নারীদের প্রতি অবিচার? কেনো ইসলাম একাধিক বিয়ের আনুমতি দিয়েছে? আসুন, জানার চেষ্টা করি।


সুপ্রিয় ভাই, এ কথায় কোন সন্দেহ নাই যে, ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থার নাম যা সকল যুগের জন্য সকল স্থানের জন্য প্রযোজ্য। বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষের সাথে ইসলাম সামঞ্জস্যপূর্ণ। পরিস্থিতির কারণে মানুষ ২য় বিবাহ করতে বাধ্য হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে তার সে অধিকার সংরক্ষণ করা আবশ্যক। তাই ইসলাম ২য় বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে শর্তারোপ করা হয়েছে যে, সকল স্ত্রীর সাথে ন্যায়পরায়ণতা সূলোভ আচরণ করতে হবে। কোন মহিলাকে এ বিয়েতে বাধ্য করা যাবে না এবং এ বিয়েতে ২য় স্ত্রী শর্তারোপ করতে পারে। ইসলামে একাধিক বিয়ে করা আবশ্যক করা হয়নি, উত্তমও বলা হয়নি বরং তা শুধু বৈধ বলা হয়েছে। একজন ব্যক্তি চারটি বিয়ে করতে পারে তবে শর্ত হচ্ছে, তাকে শরীয়ত নির্ধারিত অলংঘণীয় শর্তাবলী অবশ্যই পূরণ করতে সক্ষম হতে হবে। সেগুলো হল, ন্যায়-পরায়ণাতা বজায় রাখা, প্রত্যেক স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হওয়া, ভরণ-পোষণ সহ জীবন-যাপনের উপকরণের ব্যবস্থা করা। মোটকথা, শুধু প্রয়োজনের ক্ষেত্রেই ইসলাম একাধিক বিবাহের অনুমতি দিয়েছে। আর তাও শর্ত সাপেক্ষে। সমাজের বিভিন্ন প্রকৃতির বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চাহিদা এবং বাস্তব প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ইসলাম এ অনুমতি প্রদান করেছে।
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হচ্ছে, যারা ইসলামের এ বিধানকে অনৈতিক এবং এতে নারীদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উত্থাপন করে তারাই যখন নিজের স্ত্রী বাদ দিয়ে বা বিবাব  বহির্ভূ্ত ভাবে অন্য মহিলাকে ‘র্গাল ফ্রেন্ড’ হিসেবে ব্যবহার করে তখন তার এটাকে অনৈতিক বলতে নারাজ! 

আসলে এরাই নারীদেকে পণ্যের মত পুরুষের উপভোগের বস্তুতে পরিণত করেছে। নারীর প্রতি এর থেকে চরম অপমান আর কী হতে পারে? প্রকৃতপক্ষে এই আইনের মাধ্যমে ইসলাম তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে লাঞ্চনা ও অপমানের হাত থেকে উদ্ধার করে বৈধ পন্থায় সম্মানের সাথে ঘরে স্থান দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
তাই পরিশেষে বলব, একাধিক বিবাহের বৈধতা দিয়ে ইসলাম মানুষের ব্যক্তিগত প্রয়োজন, প্রকৃতিগত চাহিদা এবং নানা সামাজিক সমস্যা সমাধানের পথকে উন্মুক্ত করেছে। নারীকে পরপুরুষের ভোগ্য বস্তু থেকে উদ্ধার করে তাকে মর্যাদা এবং সম্মানের আসনে আসীন করেছে। তবে প্রয়োজন, ইসলামী আইনের ব্যাপারে মুসলমানদের গণসচেতনতা এবং সঠিকভাবে তা ব্যবহার করা। তাহলেই যে উদ্দেশ্যে ইসলাম এ আইনকে মানবতার কল্যাণে দান করেছে সে উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন॥

0 thoughts on “একাধিক বিবাহ করা কি নারীদের প্রতি অবিচার?”

    1. দাদার সমন্দির মেয়েকে বিয়ে করা যাবে। কোন সমস্যা নাই।
      উদাহরণ সরূপ: দাদার নিজের ছেলে বা মেয়ে তথা আপনার চাচা বা ফুফুদের মেয়েকে যখন বিয়ে করা যাবে তখন দাদার সমন্দির মেয়ে তো অনেক দূরে। সুতরাং এতে কোন অসুবিধা নাই।
      ধন্যবাদ।

  1. sotti islam ekti apurba ebong mahan dharma. prokitopokkhe kono dharma-i asat ,samaj poriponthi kono bidhan daini ba daina. islam-o tai . shudu dharmoke gobhir bhabe janar dorkar hoi. ar page ti te lekhata pore khub bhalo laglo. dharmer bibhed katie manushke gyaner aloy niye aste hobe. Udipta Mallik,WB,India


    1. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
      হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। সঠিক ধর্ম সম্পর্কে গভীর ভাবে জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত জরুরী। সব সময় আপনাকে আমাদের সাথে পাব এই প্রত্যাশা করছি।
      সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।

  2. Nurul Islam Shamim

    It would be better to have quotations from the Quran and authentic Hadith regarding this article

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *