মক্কা দুর্ঘটনায় যে সকল হাজী সাহেব প্রাণ হারিয়েছেন
তাদের জন্য সুসংবাদ
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
এ মৃত্যু সাধারণ মৃত্যু নয় বরং শাহাদাতের মৃত্যু ইনশাআল্লাহ- যে মৃত্যু প্রতিটি মুমিনের প্রত্যাশা। কারণ, এ মৃত্যু সংঘটিত হয়েছে-
☑ ১) জুমার দিনে (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনে বা জুমার রাতে মৃত্যুকে কবরের আযাব থেকে নিষ্কৃতি লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।- তিরমিযী, হাসান)
☑ ২) জুমার দিনের শেষ সময়ে (যা দুয়া কবুলের সময়)
☑ ৩) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম এবং আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দনীয় শহরে
☑ ৪) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ঘর কাবার পাশে
☑ ৫) হজ্জের মত অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদতের মধ্যে
☑ ৬) হজ্জের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আমল তওয়াফ রত অবস্থায়
☑ ৭) ইহরাম পরিহিত অবস্থায় (রাসূল সা. বলেছেন: যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে কিয়ামতের দিন সে লাব্বাইক..পাঠ করতে করতে উঠবে।)
☑ ৮) বৃষ্টি রত অবস্থায় (বৃষ্টি হল আল্লাহর রহমত)….বৃষ্টির পানি শহীদের রক্ত ধুয়ে দিচ্ছে!!
☑ ৯) ক্রেন ধ্বসে মৃত্যু (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কিছু ধ্বসে বা কোন কিছুর চাপা পড়ে মৃত্যুকে শহীদী মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন)
☑ ১০) সারা বিশ্বের অগণিত মুসলিম এ দুর্ঘনায় নিহতের জন্য দুয়া করছেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নেন।
এভাবেই আল্লাহ যার কল্যান চান তাকে বিশেষভাবে মর্যাদার অধিকারী করেন।
আমরাও আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুয়া করি, মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নিন। আমীন।
সেই সাথে নিহতের শোক-সন্তোপ্ত পরিবারের পবিরারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা-আল্লাহ তায়লা যেন তাদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওফীক দান করেন। আহতের জন্য দুয়া করছি তিনি যেন, তাদেরকে আশু আরগ্য দান করেন এবং তাদের গুনাহ-খাতা মোচন করে পরকালের ভয়াবহ শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করেন। আমীন।
উল্লেখ্য যে, গত ১১/৯/২০১৫ তারিখ, শুক্রবার সন্ধা ৫:১০ এ পবিত্র মক্কা শরীফের মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহৃত মধ্যপ্রাচ্যের সবেচেয় বড় ক্রেনটির অংশ বিশেষ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে ভেঙ্গে পড়ে মাতাফে তথা তাওয়াফের স্থানে। আর তাতে সর্ব শেষ খবর অনুযায়ী ১০৭ জনের প্রাণহানী ঘটে এবং ২৩৮ জন আহত হন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
Aameen.
Aameen.
আসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ,
আমি একটি বিষয়ে সিধান্ত নিতে পারছি না যে, ভাগে কুরবানী দেওয়ার বিধান কি । যেমন, একটি গরূতে কতজন কুরবানী দেবে। আমি যেটা পেয়েছি তা হচ্ছে একাই(১ জনে) দেয়া উতম আর সরবচ সাত(৭ জনে) জনে দেওয়ার বিধান আছে। এর মধ্যের যেমন,২,৩,৪,৫,৬ জনে ভাগে কুরবানী দেওয়া নিয়ম আছে কিনা এবং দেওয়া যাবে কিনা । বিস্তারিত জানিয়ে আমাকে উপকিরিত করিবেন ।